রংপুর নগরীর হাজিরহাট থানা এলাকায় বসতবাড়ী ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে নগরীর বানিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী সাহেদুল ইসলাম জানান, নিকটস্থ সিও বাজার এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে লিমন মিয়ার নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এ ভাঙচুর চালায়। এর আগে বিভিন্ন সময় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ৬০ শতক বাড়িভিটে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় রাহেনুজ্জামান ও রোকনুজ্জামান এর নেতৃত্বে জনসম্মুখেও হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যার ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ স্বরূপ আমাদের রয়েছে। অথচ এ ঘটনার আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোর্টে অন্য মোকাদ্দমা নং ১৮৭/১১ মামলা দায়ের করি এবং বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলায় আমাদের প্রতি রায় প্রদান করেন। পরে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে রাহেনুজ্জামান ও রোকনুজ্জামান এর মা একটি দরখাস্ত দাখিল করিলে আমি সেই দরখাস্তের বিরুদ্ধে সিভিল রিভিশন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২২/২০২০ মোকাদ্দমা মামলা করি।বিজ্ঞ আদালত আমার বিপক্ষে রায় প্রদান করিলে সেই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন ১৬৭৪/২০২১ নম্বর মোকাদ্দমা করি। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট বিবাদীগনের নিম্ন আদালত হতে প্রাথমিক প্রাপ্ত হাম বাতিল করতঃ এবং বাদী পক্ষের চুড়ান্ত রায় প্রদানে মোকাদ্দমাটির নিষ্পত্তি করার আদেশ প্রদান করেন। এ নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে আইন অমান্যকারী রাহেনুজ্জামান ও রোকনুজ্জামান গং আমাদের ৬০ শতক বসতভিটে জবরদখল নিতে উঠেপড়ে লেগেছে।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বানিয়া পাড়া গ্রামে একটি বসতবাড়ির লোকজনের শোর চিৎকার শুনা যায়। সকালে ঘটনাস্থলে এসে বসতবাড়ির ঘেরাবেড়া ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে হুমকি দিয়ে চলে যায় তাঁরা।
অপর দিকে এঘটনা কে কেন্দ্র করে সাংবাদিকরা প্রতিবেশী রহিদুল এর সাথে কথা বলে এঘটনার বিস্তারিত জানলে পরে রহিদুল ইসলামকেও রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উত্তম হাইস্কুলের মোড় বিডিআর হলের সামনে রহিদুল বাইক নিয়ে দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে এসে রহিদুলের উপর হামলা করে। এবং গাড়িতে তুলে নিয়ে ধাপ শিমুলবাগ মেডিকেলের গেটের কাছে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রহিদুল কে মুমুর্য অবস্থায় স্থানীয়রা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। রহিদুল মাথা ও শরীরে ১৮ থেকে ২০ টি সেলাই নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এঘটনায় রহিদুলের পরিবার সংশ্লিষ্টদের কাছে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন।
হাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, ইতিপূর্বে এ বসতভিটের বিরোধ নিয়ে পুলিশ পরিদর্শন করেছে।সর্বশেষ ঘটনায় ভাঙচুর বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে।ঐ মামলার সাক্ষী রহিদুল এর উপর হামলার অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
নির্বাহী সম্পাদক