গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সাজু মিয়া আশারু (৫০) দীর্ঘদিন ইয়াবা সেবনে আসক্ত। নেশার টাকা যোগান দিতে না পারায় স্ত্রী হামিদা বেগমকে (৪৫) অমানুষিক নির্যাতন করতেন। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ও মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে স্বামীকে কারাগারে রাখতে ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন হামিদা।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে আবেদনের রিসিভ কপি নিয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেখা যায় হামিদা বেগমকে। জিজ্ঞাসা করতেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজু মিয়া আশারু। তিনি একসময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে শুরু করেন গাঁজা সেবন। একপর্যায়ে আসক্ত হয়ে পড়েন ইয়াবায়। এতে সংসারে শুরু হয় টানাপড়েন। এমতাবস্থায় জীবিকার তাগিদে হামিদা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ শুরু করেন। ওই পারিশ্রমিক দিয়ে চলত সংসার।
এদিকে, নেশার টাকার জন্য প্রায়ই হামিদাকে মারধর করতেন সাজু মিয়া। টাকা না দিলেই চলত অমানুষিক নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। স্বামীকে মাদক থেকে ফেরানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হামিদা এখন দিশেহারা।
ভুক্তভোগী হামিদা বেগম বলেন, ‘আমার পরিবারের বসতভিটা ছাড়া আর কোনও সম্বল নেই। স্বামী সাজু মিয়া একসময় দিনমজুর কাজ করে আমাদের ভালোই চলছিল। এরই মধ্যে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই মাদকের টাকা না দিলে বেধড়ক মারপিটসহ নানা অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তাই, ভাবলাম স্বামীকে কয়েক মাস কারাগারে রাখলে হয়তো মাদক থেকে ফিরতে পারে। এজন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, ‘স্বামীর বিরুদ্ধে হামিদা বেগমের দেওয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি থানায় পাঠিয়ে দেব রেগুলার মামলা করার জন্য।
নির্বাহী সম্পাদক