পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১৩টি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৫ জনে।
পঞ্চগড়ের বোদা ও সদর থানায় করা এসব মামলায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ হাজারেরও অধিক।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখন জেলা জুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। গ্রেপ্তারের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান চালচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
তবে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পঞ্চগড়। জুমআর নামাজের পর আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী জলসা বন্ধসহ তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌড়ঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তাদের সাথে শুরু হয় সংঘর্ষ। এঘটনায় দুইজন নিহতও হন।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে ঘটনায় ১৩টি মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য, বিভিন্ন স্টিল ছবি যাচাই-বাছাই করে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক