বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপান আম আমদানির আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, জাপানে আম রপ্তানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে এবং শিগগিরই রপ্তানি শুরু হবে।
দেশের আম বাগানগুলো এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। আগাম কালবৈশাখীর ঝড় না হলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। মার্চের শেষে কাঁচা আম ও এপ্রিলের শেষে পাকা আমের মওসুম শুরু হবে।
বাংলাদেশের সুমিষ্ট আমের খ্যাতি ব্রিটেন, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে অনেক আগেই। গত বছর রাশিয়াও বাংলাদেশ থেকে আম নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিল।
বুধবার সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের আম নিতে জাপানের আগ্রহ রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে জাপানের পূর্বশর্ত পূরণে কাজ চলছে। দুই দেশ একসাথে কাজ করছে।
“শিগগিরই জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।”
বৈঠকে জাপান বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন এবং কৃষিখাতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় এসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে। এপ্রিল মাসে এই সফর হতে পারে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, “কৃষিখাতে জাপান-বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাই। সেজন্য, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চাচ্ছি, যাতে করে সহযোগিতার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা যায়।”
নির্বাহী সম্পাদক