ডেস্ক নিউজ : কানাডার কুইবেক শহরে আসন্ন জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রামে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেখানেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কানাডার সমর্থন চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক কাতারে উন্নীত হওয়ায় পরিবর্তিত বাণিজ্য সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
“পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়ত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ৮ জুন কানাডার কুইবেকে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি৭-এর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের সমাপনী দিনে আউটরিচ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আউটরিচে জোটের সদস্য নয়, কিন্তু বিশেষভাবে আমন্ত্রিত দেশের সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ১৬ জন অতিথি যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, জ্যামাইকার প্রেসিডেন্ট, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এতে অংশ নেবেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত জি৭-এর আউটরিচ প্রোগ্রামেও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালি জি৭-এর সদস্য।”
“সূত্র জানায়, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রামে যোগ দিতে ৭ জুন রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। সম্মেলন শেষে ১১ জুন দেশে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রীর।”
“এবারের জি৭ সম্মেলনের আউটরিচে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। এটি হবে বাংলাদেশ ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে। ওই আয়োজনে কানাডার বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সেখানে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ বাসিন্দাকে আশ্রয় দেয়ার অভিজ্ঞতা বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।”
সূত্রটি বলছে, আউটরিচে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি দলও গঠন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন চাই। বাংলাদেশে একসঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক শরণার্থীর অবস্থান দেশের অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ঝুঁকি ডেকে আনছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলো। আমরা চাই এর স্থায়ী সমাধান।”
“এদিকে ঢাকাস্থ কানাডার দূতাবাস জানায়, রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও বাণিজ্য ও সমুদ্র সম্পদ নিয়ে জি৭-এর নেতাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এবারের জি৭ সম্মেলনে মহাসাগর, সমুদ্র ও উপকূলের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ও গুরুত্ব পাবে।”