সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বলেন, ক্রিকেটের জোয়ারে দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো বিলুপ্তপ্রায়। ক্রিকেটের মতো এসব খেলাকেও মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য লেখনির মাধ্যমে ক্রীড়া সাংবাদিকদেরই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল বিএসপিএ-মাহা অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএসপিএ সিলেটের সভাপতি মান্না চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, বিয়ানীবাজার পৌর মেয়র মো. আব্দুস শুকুর ও সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবীর। মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, সিলেটের গ্রাম গ্রামান্তরে অফুরন্ত ক্রীড়া সম্ভাবনা থাকলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তার যথাযথ বিকাশ হচ্ছে না। তাই ক্রীড়ার উন্নয়নে সবাইকেই ত্যাগের মনোভাব নিয়ে আসতে হবে। বিয়ানীবাজার পৌর মেয়র মো. আব্দুস শুকুর সিলেটের ক্রীড়া সাংবাদিকতা ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বিএসপিএ সিলেটের অবদান ঈর্ষণীয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসপিএ সিলেটের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশনের বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্ডেপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ও বিএসপিএ সদস্য মঞ্জুর আহমদ, ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ও বিএসপিএ সদস্য মাসুম আহমদ, সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবীর লিটন, বিএসপিএ সিলেটের কোষাধ্যক্ষ মো. অলিউর রহমান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাহী সদস্য হাসান মো. শামীম। উপস্থিত ছিলেন, স্পাইস টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ও বিএসপিএ সদস্য গুলজার আহমদ, আন্তর্জাতিক উশু কোচ আনোয়ার হোসেন, বিএসপিএ সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক মিজান আহমদ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য মো: মিজানুর রহমান, সদস্য এস.এইচ মিলাদ, মোহাম্মদ আফজাল প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে বিএসপিএ-মাহা অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৭টি ইভেন্টের ১৫ বিজয়ীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।