Home » সিলেটে ‘চাঁন্দের হাটে’ ২ টাকায় শীতের পোশাক

সিলেটে ‘চাঁন্দের হাটে’ ২ টাকায় শীতের পোশাক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার বেলা আনুমানিক ৩ টা। সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় শীতের পোশাক বিক্রির অস্থায়ী এক দোকানকে ঘিরে পথশিশুদের ভিড়। এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পছন্দের শীতের পোশাক। যার আয়োজক ‘নিঃস্বার্থ পরিবার’। দোকানের নাম ‘চাঁন্দের হাট’।

কথা বলে জানা যায়, গত চার বছর থেকে ‘নিঃস্বার্থ পরিবার’ নামক সংগঠনের কিছু উদ্যোমী তরুণ কাজ করে যাচ্ছেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য। ‘চাঁন্দের হাট’ নাম দিয়ে তাদের ব্যতিক্রমী এ দোকান দ্বিতীয় বারের মত বসিয়েছেন।

এর আগে গত বছর ঈদুল ফিতরের সময়ও তারা এ হাট বসিয়েছিলেন। সে সময় প্রায় দুই শতাধিক মানুষের মাঝে বিক্রি করেছিলেন ঈদের পোশাক। এবার এ সংখ্যা বাড়িয়ে চারশ করা হয়েছে।

এ সংগঠনের সদস্য নাঈম আহমদ জানান, সংঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। যার ৬০ জন সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। সবাই শিক্ষার্থী। নিজেদের খরচের টাকা বাঁচিয়ে মাসিক চাঁদা দেন বছরজুড়ে। বছর শেষে এ টাকা থেকেই কেনা হয় পোশাক। প্রথম দিন শুক্রবার প্রায় দুই শতাধিক শীতের পোশাক বিক্রি হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে বাকি দুইশত পোশাক বিক্রি হবে চা শ্রমিকদের সন্তানদের মাঝে।

মাত্র দুই টাকায় বিক্রি প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, নিজের টাকায় কেনার আনন্দ বেশি। তাই দুই টাকা দিয়ে হলেও তারা যখন কিনবে তখন এটা আর দান থাকবে না। বরং কিনে ব্যবহারের আনন্দটা তারা পাবে।

বেশ কিছু সময় দেখা দাঁড়িয়ে গেলো এ দোকানের ক্রেতাদের আনন্দ। কোনটা থেকে কোনটা নেবেন সেটা নিয়েও বাছবিচার চলে। বিক্রেতারাও দেখান ক্রেতাদের চাহিদামত শোশাক। এসময় শীতের পোশাক কিনে গায়ে দিচ্ছিলো পথশিশু নয়ন। তিনি ২ টায় শীতের জামা পেয়ে বেজায় খুশি।

নয়ন বলে, ‘মাত্র দুই টাকা দিয়া লইলাম। আর শীত লাগত না। ইবার বহুত শীত লাগের এখন আরাম লাগব।’

তবে তাদের এ কার্যক্রম এখানেই সীমাবদ্ধ না, বছরজুড়ে প্রতি মাসেই তারা পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। আগামীতে তাদের পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে বয়স্ক মানুষের পোশাকও বিক্রি করা হবে বলে জানালেন নিঃস্বার্থ পরিবারের সদস্য নাঈম আহমদ।

তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর আমাদের পোশাক বিক্রির এ কার্যক্রম আবার হবে। তখন বয়স্ক মানুষের পোশাক রাখা হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *