একদিন আগে মামলা না নেওয়ার অপরগতা জানিয়ে বিদায় দিলেও ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা পর ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) পরিবারকে ডেকে মামলা নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মামলা নম্বর ৪১। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ইভানার শিক্ষক ও আইনজীবী এম. সরোয়ার হোসেনও ছিলেন।
মামলায় দুই জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন মৃত ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান ও ইম্পলস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইভানার পরিবার গতকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলা দেওয়ার জন্য এসেছিল। এ ঘটনায় যেহেতু আগেই একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল, আমরা তাদের জানাই, সেটি তদন্ত করলেই সব ঘটনা জানাবো। তবে ইভানার পরিবার চাচ্ছে আরেকটি মামলা করতে। আমরা তাদের সেই এজাহার মামলা হিসেবে নিয়েছি। মামলায় দুই জনকে আসামি করেছেন বাদী। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
মামলা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গতকাল মামলা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে বাসায় ফিরেছিলাম। আজ থানা থেকে ফোন করেছিলেন ওসি। তারা মামলাটি নিতে রাজি হয়েছেন। মামলা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের আশা করছি।’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী তার আইনজীবী এম. সরোয়ার হোসেনকে নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরিবাগের দুটি বাড়ির মাঝখান থেকে ইভানা লায়লা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী ব্যারিস্টার রুম্মানের নির্যাতন ও পরনারীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ইভানা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং তাকে ভুল চিকিৎসা করিয়ে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে ইভানার পরিবার অভিযোগ করে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন