গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলাধীন শেরপুর পশ্চিম বাজারে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিন চার মুখোশধারী বুথে ঢুকে নিরপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫ শ’ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, ডাকাতদের মধ্যে তিনজনের মাথায় ছিলো লাল কাপড় বাধা ও একজনের মাথায় ক্যাপ। সবার মুখই মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিলো।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ওসমানীনগর থানালিশ। পরবর্তীতে মামলা দায়ের হওয়ার পর থানা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সে মোতাবেক কাজ শুরু করে ডিএমপির সাইবার ইউনিট। বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্তের পর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদ নামে এক দর্জিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড শামীম আহম্মেদ ও তার সহযোগী আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত জহির নামে একজন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানাতে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সিসি ক্যামেরায় কালো রঙ স্প্রে করা, মুখমণ্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই ‘সিআইডি’ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করে এই চারজন।
এদিকে ডিবি পুলিশ বলছে, ১৩ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ লুট করা হয়। এরমধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবে তাদের।
ডাকাতদের বিষয়ে সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও মিডিয়া অফিসার মো. লুৎফর রহমান বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস-কে বলেন, তাদের পূর্ণ ঠিকানা এখনও আমাদের জানানো হয়নি। তবে তাদের সবার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।
বার্তা বিভাগ প্রধান