সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আয় ও সম পরিমাণ ব্যয় ধরে বাজেট পেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাজেট ঘোষণা করেন।
সিসিক মেয়র বলেন, সিলেট নগরের নাগরিকদের অধিকতর সুযোগ-সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিতের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার সর্বমোট ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাতগুলো হলো, হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুণঃ নির্মাণের উপর কর ২ কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবাদ ৯০ লাখ টাকা, ঠিকাদারি তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১৭ লাখ টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৬০ লাখ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ৮০ লাখ টাকা, নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আরিফ বলেন, নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে বাজেট বছরে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব খাতে আয় হবে ৮২ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমরা বীরের জাতি। আমাদের লড়াকু মনোভাবকে সঙ্গী করে সিলেটের সকল মানুষের সহযোগিতায় করোনা মোকাবিলা করে এবং শত ঝুঁকি উপেক্ষা করে সিলেটের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই সিলেটে দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে যেভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন তা অতুলনীয়। এই একতাই আমাদের সিলেটের বড় শক্তি। এই একতা, এই সাহস আমাদেরকে ‘নতুন সিলেট’ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলরবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান