সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বড় দরপতন হয়েছে শেয়ার বাজারে।
প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক কমেছে। শুধু তাই নয়, কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামও।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই একেরপর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে প্রথম মিনিটিই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্টের বেড়ে যায়। ২০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৩৯ পয়েন্ট।
তবে সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় যেখানে ২০০’র বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, সেখানে লেনদেন শেষে মাত্র ৫২টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০০টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৭ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ১৪০ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সের। কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বেক্সিমকোর ৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ওয়ালটন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ, সাইফ পাওয়ার টেক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং ইসলামিক ফাইন্যান্স।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ২২৭টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান