ডেস্ক নিউজ : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তাদের কথা, সরকার আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। তাই বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারদণ্ড নিয়ে কারাগারে যান ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন এবং আপিল শুনানির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আরো চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হয়। এর মধ্যে কুমিল্লার দু’টি মামলায় তিনি জামিন পেলেও, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে ঈদের পর ২৪ জুন শুনানির তারিখ দিয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি নেতারা ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির যে আশা করেছিলে, তা আর হচ্ছে না। অন্যদিকে ঢাকার দু’টি মামলায়ও উচ্চ আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি। আদালত এই দু’টি মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারিক আদালতকে নিস্পত্তি করতে বলেছেন।
“খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, নানা প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জামিন আটকে দিচ্ছে আদালত। বিভিন্ন ইস্যুতে আপিল বিভাগ জামিন স্থগিত করে দিচ্ছে। আমরা আদালত যেভাবে বলছে সেভাবে এগোচ্ছি। কী হবে বলতে পারছি না।”
“বিএনপি স্থায়ী কামটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আইন যখন সরকারের হাতে চলে যায়, তখন তো আর ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। বিচারবিভাগকে সরকার প্রভাবিত করছে। তাই দেশের মানুষ মনে করে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আমরাও মনে করি আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। এর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম, প্রতিবাদ, প্রয়োজন। বিএনপি তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
“নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আরো সময় আছে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তো ‘স্পেস’ দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখে নির্বাচনের ‘স্পেস’ বন্ধ করা হচ্ছে। আমরা দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়। সময় আছে।”
“বিএনপির মহাসচিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বলেন, রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাস্তায় প্রতিবাদ করা ছাড়া উপায় নাই। এখন রামজান মাস, তাই আমরা রাস্তায়ও নামতে পারছি না। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি কী হবে, তা নিয়ে।”
“তার কথায়, সরকারের উদ্দেশ্য ভিন্ন৷ তারা ম্যাডামকে নির্বাচন করতে দিতে চায় না। রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। এ সবের জন্যই তো এই অবস্থা করা হচ্ছে।”
“তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না, সেব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে৷ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে মামলা, নির্বাচন এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।”