টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচ নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২২ গজে র্যাঙ্কিংয়ের কোনও প্রভাবই পড়লো না। ১০ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচেই প্রভাব বিস্তার করে জিতেছে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ কিছু রান কম করাতে স্বস্তির একটি জয় পেয়েছে অজিরা। বাকি ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সোমবার ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন কোন কৌশলে এসেছে এই সাফল্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল উজ্জ্বল। টানা চার ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেও হয়েছেন সফল। চতুর্থ ম্যাচে হতাশ করা সাকিব আল হাসান ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলাম তো পুরো সিরিজেই ছন্দময় বোলিং করেছেন। নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসান পাঁচ ম্যাচেই অজি ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছেন।
বোলিংই এই সিরিজের সাফল্যের নেপথ্যে। ঘরের মাঠ, বিশেষ করে মিরপুরের উইকেট যেহেতু ধীরগতির। তাই কন্ডিশনের পূর্ণ ফায়দা তুলতে চেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সেজন্য বোলারদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছিলেন সিরিজের আগে। কৌশল তখনই ঠিক করা।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বোলারদের সাফল্য ঈর্ষনীয়। এই সাফল্যের রহস্য কী? মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘এই সিরিজের আগে আমি বোলারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেভাবে প্রতিটা খেলায় চিন্তা-ভাবনা করেছে, এটা সন্তুষ্টির বিষয়। আমরা আমাদের কন্ডিশনে কোনও কিছু ছেড়ে দিতে পারি না, কারণ আমরা ঘরের মাঠে ভালো দল। আমাদের দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো সম্ভাবনা আছে, হয়তো র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ভালো জায়গায় নেই।’
বোলারদের প্রশংসা করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘বোলাররা অনেক ভালো করেছে। এই কৃতিত্ব তাদের। আমার মতে উন্নতিটা ভালো হয়েছে। যদি জিম্বাবুয়ে ও এই সিরিজের দিকে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন তারা তাদের নার্ভ শান্ত রেখেছে খুব ভালোভাবেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শান্ত থাকতে হবে ও দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ, ‘ছেলেদের নিয়ে আমরা অনেক খুশি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। ছেলেরা জয়ের ক্ষুধা দেখিয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান