পরীমনি ও তার ঘনিষ্ঠ নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর পর এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেন পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ জিমি। শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গুলশান থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছিলেন, পরীমনির অনৈতিক কাজের সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘রাজ একজন মূর্খ মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করত। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে, বুধবার (৪ আগস্ট) বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয় পরীমনিকে। র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় তার বাসায়।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয় পরীর বিরুদ্ধে। ওইদিনই সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় পরীমনিকে। তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ থেকে পরীমনির ঘনিষ্ঠজন চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। তাকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে ‘পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা’র ঘটনার সঙ্গী ছিলেন কস্টিউম জিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমি। পরীমনির বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনের সময়ও জিমিকে উপস্থিত রাখা হয়। পরে তিনিও গণমাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। পরীমনির দায়ের করা ধর্ষণ ও হত্য মামলায় নাসির ইউ মাহমুদের সঙ্গে জিমিও গ্রেফতার হন। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন।
সূত্র: সারাবাংলাডটনেট
বার্তা বিভাগ প্রধান