সিলেটে লকডাউনকে পুঁজি করে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের যাত্রীহয়রানি চরমে পৌঁছেছে। যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অটোরিকশা চালকরা আদায় করছেন দিগুণ-তিনগুণ ভাড়া। চালকদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া না দিলে যাত্রীদের হতে হয় লাঞ্ছনার শিকার।
তবে এবার বিষয়টি নজরে নিয়ে অ্যাকশনে নামবে পুলিশ। পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে পুলিশ বলছে- হয়রানির শিকার হলেই ৯৯৯-এ কল দিয়ে অভিযোগ করার জন্য। অভিযোগ পেলেই দ্রুত অ্যাকশন নেবে পুলিশ।
সিলেটসহ সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদুল আযহার দুদিন পর থেকে আবারও লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটসহ সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিলেটে দেদারসে চলছে সিএনজি অটোরিকশা। সেই সঙ্গে চালকরা সকল সড়কে যাত্রী কম না নিয়েই যাত্রীদের জিম্মি করে ৬০% বেশি ভাড়া আদায় করছেন। দাবি অনুযায়ী ভাড়া না দিলে অনেক সময় যাত্রীদের হেনস্তাও করছেন চালকরা। মান-ইজ্জতের ভয়ে চালকদের অন্যায় দাবি মেনে বাড়তি টাকা দিয়েই তাদের হাত থেকে যাত্রীরা রেহাই পাচ্ছেন।
সিলেটজুড়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের এমন হয়রানি আর নৈরাজ্যের প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন যাত্রীসাধারণ।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের সোমবার (২ আগস্ট) বিকেলে বলেন, করোনাকালে সড়কে সকল ধরনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ তদারকি করছে এবং যে সময় যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেরকমই নিচ্ছে। তবে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বেশি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষকেও প্রতিবাদী হতে হবে। এরকম ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ দ্রুত অ্যাকশন নিতে পারবে।
দক্ষিণ সুরমার কিনব্রিজের মুখ ও চন্ডিপুল থেকে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার পর্যন্ত চালকরা বেশি নৈরাজ্য চালাচ্ছেন- বিষয়টি নজরে আনলে বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশকে অবগত করা হবে এবং দ্রুত অ্যাকশনে যাবে পুলিশ।
সূত্র: সিলেটভিউ২৪ডটকম
বার্তা বিভাগ প্রধান