দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে অবসরে গেলেন টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল ফারুক আহমেদ। দিনটিকে স্মরণীয় করতে বিশেষ আয়োজন করে শেষ কর্মস্থল এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকর্মীরা। তাকে সম্মানের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সাজানো হয় পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি। সোমবার (২ আগস্ট) বিকালে পুলিশ সদস্য ফারুক আহমেদ বিদায় সংবর্ধনা নিয়ে ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে বাড়ি ফেরেন। তার সঙ্গে স্ত্রী রিনা বেগম ও মেয়ে রুনা আক্তারও সঙ্গী হয়। এসময় কনস্টেবল ফারুক আহমেদের চোখে-মুখে ছিল কান্নার ছাপ। সৎ ও নিষ্ঠাবান কনস্টেবল ফারুক আহমেদকে বিদায় দিতে গিয়ে তার সহকর্মীরাও আবেগ আপ্লুত হন।
এদিকে ফারুক আহমেদের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গাড়িটি পৌঁছালে সেখানেও স্বজনরা তাকে বরণ করে নেন। এই ব্যতিক্রমী বিদায়ে সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। আনন্দঘন এই আয়োজন দেখতে ফারুকের বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয়রাও।
জানা গেছে, ফারুক আহমেদ ১৯৮৬ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। প্রায় ৩৭ বছরে ডিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন থানায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চাকরিজীবনের শেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে বিশেষ আয়োজন করে শেষ কর্মস্থল এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকর্মীরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কনস্টেবল ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি কর্মজীবনের দীর্ঘ সময়ে অনেক থানায় দায়িত্ব পালন করেছি। শেষ কর্মস্থলের সহকর্মীরা বিদায়কালের এভাবে সম্মান দিবে কখনও ভাবিনি। আমার পরিবারসহ এই সম্মান পেয়ে আমি আবেগ আপ্লুত। আমি সহকর্মীদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘ফারুক আহমেদ গত ৯ মাস ধরে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। আজ তিনি অবসরে গেলেন। তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানোসহ ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পরে সুসজ্জিত গাড়িতে করে তিনিসহ তার স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রবীণ এই পুলিশ সদস্যের চাকরিজীবনের শেষ মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়।’
প্রসঙ্গত, এরআগে গত ৩১ জুলাই জেলার সখীপুর থানার কনস্টেবল জাহিদ হাসানকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান