Home » আফগানিস্তানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে তালেবানের তীব্র লড়াই

আফগানিস্তানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে তালেবানের তীব্র লড়াই

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এবং পশ্চিমাঞ্চলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে এখন তীব্র লড়াই চলছে। আফগান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে এসব শহরের দখল নেয়ার জন্য তালেবান সেখানে তীব্র হামলা চালাচ্ছে।

পশ্চিমের হেরাত শহরে বিদ্রোহীরা তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে এবং খবর পাওয়া যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। লড়াই চলছে লস্কর গাহ এবং কান্দাহারেও।

তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের দক্ষিণে রণাঙ্গন এলাকা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গতকাল আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন আমেরিকান বিমান হামলার সহায়তায় তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। আজ শনিবার হেরাতে আবার তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।

সরকার সমর্থক ৭০ বছর বয়সী একজন গোষ্ঠী-নেতা ইসমাইল খান বলেছেন হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে।

কাবুল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি জানাচ্ছেন হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরের ওপর বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন মারা গেছে।

হাসপাতালের ভেতর কতজন ছিলেন এখনও স্পষ্ট নয়। লস্কর গাহ তালেবানের দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী।

গতকাল আফগান সরকারের কর্মকর্তারা বলেছিলেন তারা লস্কর গাহ শহরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সমর্থ হয়েছেন এবং আমেরিকান বিমান হামলায় অনেক তালেবান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে বলেছে তালেবান গতকাল গর্ভনরের দপ্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, কিন্তু তাদের হঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে একজন আফগান এমপি বিবিসিকে বলেছেন লড়াইয়ে কান্দাহার শহরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে এবং খাদ্য ও পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেছেন তালেবান কান্দহার দখল করলে আরও পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। আফগানিস্তান বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন বলেছেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে বলে মনে করেন তিনি।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর আশংকা হচ্ছে, তালেবান এখন আগের মতোই আবার একটি ইসলামিক আমিরাত পুনপ্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে।

এদিকে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলে ধস নামতে পারে, যার পরিণামে তালেবান আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সেখান থেকে আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি তৈরি হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *