করোনার সংক্রমণের হার দেশটিতে যখন নিচের দিকে তখন এই ধরণ শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনজুড়ে ডেল্টার ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয় চীনের উহানের কাঁচাবাজার থেকে। এরপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। ধারণ করেছে মহামারি। কঠোর বিধিনিষেধে করোনা শনাক্তের হার চীনে প্রায় শূন্যের কোটায়। এমন অবস্থায় ডেল্টার প্রকোপ দেখা দিয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরে।
চীন যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে তখনই উৎকণ্ঠার খবর দিলো দেশটির সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ৪৯ জনের দেহে কোভিড শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৮৬।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন প্রদেশে ২৪ জন করোনায় শনাক্ত হন। এর মধ্যে রাজধানী বেইজিংয়েও একজন আছেন। এ ছাড়া ১৪ জনের শরীরে নতুন করে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
নানজিং শহরের নানজিং লুকোউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মী পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে উড়োজাহাজ পরিষ্কার করছিলেন। সেখান থেকে ডেল্টার ধরণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে শহরটিতে ডেল্টার আতঙ্কে স্থানীয়রা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরটি।
শুধু বিমানবন্দর নয় ডেল্টার সংক্রমণ ঠেকাতে নানজিং শহরও লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার ২০০ জন কোভিডে শনাক্ত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছেন এই শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে। যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে টিকাকরণ। প্রথম ভারতে এই করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়। পরে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ধরণটি।
বার্তা বিভাগ প্রধান