ডেস্ক রির্পোট:: সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার আরাফাত ফুডে চুরির ঘটনায় ৪ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৪ জুলাই) এয়ারপোর্ট থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন ও অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকিরের নির্দেশে এসআই (নিঃ) নিলয় কুমার চৌধুরী সহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- খাসদবি এলাকার মৃত মৌলা বক্সের ছেলে সুলতান বক্স মনসুর (৪৪), মৃত হেলাল আহমদের ছেলে দেওয়ান সাহেদ আহমদ নয়ন (৩৪), সৈয়দ মুগনী এলাকার মৃত ছমির আলীর ছেলে আমির আলী (৩৬) ও এয়ারপোর্ট থানার সিরাজুল হাওলাদারের ছেলে মো. সুহেল (৩২)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- সম্প্রতি এয়ারপোর্ট থানার খাসদবীর এলাকার আরাফাত ফুডে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুলতান বক্স মনসুর, দেওয়ান সাহেদ আহমদ নয়ন, আমির আলী ও মো. সুহেলকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে চৌকিদেখী এলাকার সানজিদা সামিহা এন্টারপ্রাইজের গোডাউন হতে চোরাই হওয়া মালামালের মধ্যে ২টি সিলভার কালার পাতের শীট, ২টি লোহার সিঁড়ি, ৪টি লোহার তৈরী বেকারীর স্ট্যান্ড ও ১টি পুরাতন স্ট্যান্ড ফ্যান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। আসামী ও তাদের সহযোগীরা খুব সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করার সাহস পায়না। গোটা খাসদবি ও চৌকিদেখী এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে আজ আতংকিত এবং নিরাপত্তাহীন। স্থানীয়রা জানান, এখনও চিহ্নিত আসামীরা ধরাছুয়ার বাহিরে। তারা এসব আসামীদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পুলিশ জানিয়েছে- মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক