রাত ১২টা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া নিউজ ভাইরাল হয়। ‘সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ১৬ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড’ এমন ভুয়া খবরে ফেসবুকে শুরু হয় তোলপাড়, সেই সঙ্গে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সিলেট নগরী ও শহরতলির জেগে থাকা মানুষ।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে খবর নিয়ে জানা যায়, সিলেট এয়ারপোর্ট রোডের লাক্কাতুরা অংশে রুটিন পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটায় শেভরন। পরে আকাশে সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে দেখা দেয় আতঙ্ক।
সেই আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে একটি চক্র ‘সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ১৬ তলা ভবনে ভয়াবহ আগুন’ এমন শিরোনামে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়। এতে সিলেটে আতঙ্ক চরমে পৌঁছে।
রাত প্রায় ১২টায় সিলেটে দেখা দেয় চরম আতঙ্ক। দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিকাণ্ডের গুজব। সেই আতঙ্ক আর গুজব তৈরির কারিগর গ্যাস উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শেভরন অক্সিডেন্টাল কোম্পানি।
এদিকে, আগুন লাগার খবর পেয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন আম্বরখানা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই মফিজ উদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শেভরন দাবি করছে এটি তাদের রুটিন পরীক্ষার অংশ। আগুন উপরের দিকে অনেক জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে যাওয়ায় সিলেটে আতঙ্কের সৃষ্টি হলেও এই আগুন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিস্তারিত বিষয় তদন্তের মাধ্যমেই বলা যাবে বলে এস.আই মফিজ উদ্দিন জানান।
আগুন লাগার বিষয়ে জানতে রাতে শেভরনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকেও সেখানে পাওয়া যায়নি। শেভরেনের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডে সিলেটের মানুষ বেশ ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদরে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বার্তা বিভাগ প্রধান