দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে দেশে ১৮ হাজার ৩২৫ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে দেশে আরও ১১ হাজার ৫৭৯ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে গতকাল সোমবার ভাইরাসটিতে ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় অধিদফতর; যা মহামারিকালে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। একদিন পরে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা দুইশোর নিচে নামেনি। এমন তথ্য জেনেই আগামীকাল বুধবার দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করতে যাচ্ছেন তাদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
করোনার প্রকোপ কমাতে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও ঈদ উপলক্ষে তা শিথিল করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গেছেন অনেকেই। মাসের শুরু থেকে টানা ১৪ দিন জরুরি পরিষেবা ও কলকারখানা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ কমেনি। এরই মধ্যে ঈদের তৃতীয় দিন থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার।
গতদিনের তুলনায় কিছুটা কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি। এ নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে করোনা রোগী শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৭ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০০ জনের মধ্যে পুরুষ ১১১ জন আর নারী ৮৯ জন। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৬১ জন পুরুষ এবং ৫ হাজার ৬৬৪ জন নারী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মৃতদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আট জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয় জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন।
মারা যাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ১২ জন, খুলনা বিভাগের ৫০ জন, বরিশাল বিভাগের সাত জন, সিলেট বিভাগের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ১২ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন আটজন।
অধিদফতর জানিয়েছে, ২০০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন আর বাড়িতে ছয় জন।
বার্তা বিভাগ প্রধান