জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতজনিত বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে, এবং এখনও শত শত লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে জার্মানির বহু নদী পানিতে সম্পূর্ণ ভরে গিয়ে দু’পারের গ্রাম ও ছোট শহরগুলো প্লাবিত হয়েছে, অনেক ছোট শহর ও গ্রামের বহু ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জরুরি ত্রাণ দলগুলো পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে এবং নিখোঁজ লোকদের সন্ধান করছে।
উত্তর পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে জার্মানি ছাড়াও বেলজিয়াম, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস এবং সুইৎজারল্যান্ডের মত কয়েকটি দেশ জুড়ে এই বন্যা দেখা দেয়।
বেলজিয়াম থেকে অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, ইউরোপে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই দেশটিতে সবচাইতে ভয়াবহ বন্যা। জার্মানিতে সবচাইতে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট এবং নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়া নামে দুটি রাজ্য। জার্মানিতে উদ্ধার ও সন্ধানকাজে সাহায্য করার জন্য ১৫ হাজার পুলিশ, সেনা বাহিনীর সদস্য এবং জরুরি সংস্থার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় আরভাইলার জেলার কর্মকর্তারা বলছেন প্রায় ১৩০০ লোকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুল্ড নামে একটি গ্রাম প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট-এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কোলোনের কাছে এরফস্টাট-ব্লেজেম শহরে একসাথে অনেকগুলো বাড়ি ধসে পড়েছে। বেলজিয়ামের লিয়েজ এবং নেদারল্যান্ডসের ম্যাস্ট্রিখটের মতো বেশ কিছু শহর ও গ্রামে বন্যার ঝুঁকির কারণে হাজার হাজার লোককে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান