সিলেটে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মাত্র ১৪ দিনে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন প্রায় হাজার লোক। এছাড়াও এই দিনগুলোতে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৬৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় থেকে প্রেরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ১ জুলাই সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ২৫ হাজার ৯৮১ জন। আর ১৪ তারিখে সে সংখ্যা গিয়ে পৌঁছে ৩০ হাজার ৮৯১-এ। এই মাত্র ১৪ দিনে সিলেট অঞ্চলে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯১০ জন।
এছাড়াও এ মাসেই একদিনে (১৪ জুলাই সকাল থেকে ১৫ জুলাই সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়) সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের (৬০২ জন) রেকর্ড দেখেছে সিলেট।
এদিকে, বুধবার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবারও করোনায় ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে সিলেটে। এর আগে ৭ জুলাই সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভয়ঙ্কর করোনায় মারা যান ৯ জন। ৭ জুলাইয়ের পর এক সপ্তাহের মাথায় সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় আবারও মৃত্যু ঘটলো ৯ জনের। চলতি মাসে সিলেটে প্রতিদিনই গড়ে মারা যাচ্ছেন প্রায় ৫ জন এবং রোগী শনাক্ত হচ্ছেন গড়ে সাড়ে ৩ শত জন।
এই যখন সিলেটের পরিস্থিতি, তখন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী আট দিন বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের ১৪ দিন শেষ হয়েছে বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে। জনসাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তবে এই সময়ের মধ্যেই সিলেটে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সাময়িক সময়ের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল হলেও ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধের জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। সিলেট নগরীতে বসবে তিনটি হাট। এছাড়াও শহরতলীর আরো কয়েকস্থানে ব্যাপক পরিসরে হাট বসানোর জোর প্রস্তুতি চলছে। জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে পশুর হাটই হতে পারে করোনা সংক্রমণের বড় ক্ষেত্র। তাই এসব হাট এবং হাট সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারেও জোর দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বার্তা বিভাগ প্রধান