শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
জল্পনা-কল্পনা শেষ এবারই প্রথমবারের মতো সিলেট সিটিতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি প্রভৃতি দলগুলোর সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা দলের হাইকমান্ডের দিকে চেয়ে আছেন। সম্ভাব্য প্রার্থী আর নগরবাসীর অপেক্ষার প্রহরের অবসান ঘটিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এর মধ্য দিয়ে সিসিক নির্বাচনকেন্দ্রীক আলোচনায় লেগেছে নতুন হাওয়া। আলোচনার অগ্রভাগে আছে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী, এই বিষয়টি। সম্ভাব্য প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী, ভোটার, সাধারণ নগরবাসী প্রায় সবার মধ্যেই আছে এই কৌতুহল।
আওয়ামীলীগ দলীয় সূত্র বলছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে দল চূড়ান্ত পর্যায়ে কাকে মনোনয়ন দেবে, এ বিষয়টি ঠিক করবে দলের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটিতে দলীয় মেয়র প্রার্থী ঠিক করতে বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠকেই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থী ঠিক করবে আওয়ামী লীগ।
দলটির আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ থেকে যারা মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী, তাদের জীবনবৃত্তান্ত আহবান করা হবে। জীবনবৃত্তান্ত দেখে আগ্রহী নেতাকে ডাকবে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড। সেখানে সাক্ষাৎকার নেয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীদের। এরপর দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে ঘোষণা করা হবে মেয়র প্রার্থীর নাম।
‘সিলেট সিটিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এখনও পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানই এগিয়ে আছেন। অভাবনীয় কিছু না ঘটলে কামরানের হাতেই ওঠছে নৌকা প্রতীক।’ তবে সিলেটে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে তৎপর আওয়ামী লীগের তিন নেতা। এঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ এবং সিটি কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। এ তিন নেতাই মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
সিটি কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের প্রত্যাশা, ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি ওঠে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য নিবেদিত। দল তাকে মূল্যায়ন করবে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড আছে। বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই সবাই কাজ করবেন। দলের জন্য সারাজীবন কাজ করেছি। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে, এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেট সিটি নির্বাচন হবে। এবার দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ভোট হবে। বিশাল সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারেন। দলের মনোনয়ন বোর্ড বসে যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে মাঠে কাজ চালিয়ে যেতে আমাকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। আমি মাঠে আছি, মানুষের সাথে আছি। দল যাকেই মনোনয়ন দিক, ব্যক্তির দিকে না চেয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সবাই একযোগে কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার ফলে সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় গতি আসবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান