করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন বুধবার (১৪ জুলাই)। বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হবে নতুন নির্দেশনার ৭ দিন। এই ৭ দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন, খুলবে দোকানপাট।
এদিকে, ‘কঠোর লকডাউন’ শেষ হওয়ার আগেই (শেষের দিন) সিলেটের সড়কগুলোতে রিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসের বেশ চাপ রয়েছে। যানবাহনের চাপে কোথাও কোথাও জটও লেগে যায়। অলিগলিতে খুলেছে দোকানপাট। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল করেছে সরকার। এ সময় মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবার কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতিমধ্যে বাস, ট্রেন, নৌযানসহ গণপরিবহন চলার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী (যত আসন, তার অর্ধেক) নিয়ে চলবে এসব গণপরিবহন।
কিন্তু ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন বুধবার সিলেটে সড়কে মানুষের বেশ ভিড় দেখা গেছে।
দুপুরের দিকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিগত দিনগুলোর তুলনায় রাস্তায় বুধবার বেশিসংখ্যক যানবাহন নেমেছে। লোকজন নানা জরুরি প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। নগরীর বন্দরবাজার ও টিলাগড়ে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো মানুষের ভিড় দেখা যায়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও ঈদ ঘিরে বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বার্তা বিভাগ প্রধান