আফগানিস্তানে তালেবান যখন একের পর এক নতুন এলাকা দখল করে নিচ্ছে, তখন ভারত কান্দাহারে তাদের দূতাবাস থেকে প্রায় পঞ্চাশজন কূটনীতিক ও কর্মকর্তাকে আপদকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার করে এনেছে।
ভারত জানিয়েছে, কান্দাহার শহর ও তার আশেপাশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়াতেই শনিবার রাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি এয়ারক্র্যাফট গিয়ে কান্দাহার থেকে ওই কর্মকর্তাদের তুলে নিয়ে আসে – তবে বিমানটি তার যাত্রাপথে পাকিস্তানি আকাশসীমা এড়িয়ে গিয়েছিল বলেই সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আফগানিস্তানে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারে ভারতের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। প্রায় দীর্ঘ দু’দশক ধরে আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকার পর মার্কিন সেনা খুব সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় নিতে শুরু করেছে – আর তারপরই সে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সে দেশে তালেবান নেতৃত্ব এমনও দাবি করেছে যে আফগানিস্তানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন হয় তাদের দখলে, কিংবা খুব শিগগিরি তাদের কব্জায় চলে আসছে।
এই পটভূমিতে গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিল্লিতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা-কে তার দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে ‘ব্রিফ’ করেন।
এর পরেও কাবুলে ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল, তাদের দূতাবাস বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। কান্দাহার ও মাজার-ই-শরিফের ভারতীয় দূতাবাসও চালু থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু শুক্রবার থেকেই কান্দাহারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে খবর আসতে শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শত শত তালেবান যোদ্ধা কান্দাহারের সীমানায় জড়ো হতে শুরু করেছে। এমন কী, শহরের ভেতর থেকেও বহু সশস্ত্র মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন এবং কোনও কোনও এলাকায় তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান