Home » হাইতির প্রেসিডেন্টের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না: মার্টিন

হাইতির প্রেসিডেন্টের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না: মার্টিন

ঘাতকের ছোড়া বুলেটে বিদ্ধ হলে, আর একটি কথাও বলতে পারেননি হাইতির প্রেসিডেন্ট মোইসি। সেদিনের ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন হামলায় আহত ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসি। শনিবার এক টুইটে অডিও বার্তায় ওই ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন।

গত ৭ জুন হাইতির প্রেসিডেন্টের বাড়িতে হামলায় আহত হন ফার্স্টলেডি মার্টিন মোইসি। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও মিয়ামি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে ধরপাকড় চলছে দেশজুড়ে।

সেদিন কী ঘটেছিল? ভেতরের ঘটনা এখনও অজানাই রয়ে গেছে। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখেন মার্টিন মোইসি। বলেন, ‘হামলাকারীরা মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমার স্বামীকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে হত্যা করে’।

‘একজন প্রেসিডেন্টকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ঘাতকরা। তাকে কোন কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি’। হামলাকারীরা প্রেসিডেন্টের স্বপ্নকে হত্যা করতে চায় বলেও জানান তিনি’।

মার্টিন মোইসি আরও বলেন, ‘আমি কান্নকাটি করছি এটা সত্য। তবে আমরা তার পথ ভুলে যেতে পারি না। আমার স্বামী, আমাদের প্রেসিডেন্টকে আমরা অনেক বেশি ভালোবাসি। তার রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না’।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইতির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ৫৩ বছর বয়সী জোভেনেল মোইসি। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটিতে সরকারবিরোধী বড় বিক্ষোভও হয়েছে। এ বছরের শুরুতে তার পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানীসহ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়।

তাকে খুনের পেছনে হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে জানা যায়নি। কারা এই হামলার নির্দেশ দাতা তা এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে। এদিকে হাইতির পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জন বিদেশি ভাড়াটে সেনার একটি দল গত বুধবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে বন্দুকযুদ্ধের পর হামলাকারীদের ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দেশজুড়ে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *