Home » ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক করোনার ‘ল্যামডা’ ধরন

ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক করোনার ‘ল্যামডা’ ধরন

মহামারি করোনাভাইরাস ধরন পাল্টে ভয়াবহ হয়ে উঠার মধ্যেই অতি সংক্রামক ভাইরাসটির আরও একটি ধরনের খবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত ভারতীয় বা ডেল্টা ধরনের চেয়েও ভয়াবহ এই ধরনটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ল্যামডা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

দ্য ইন্ডিপিন্ডেন্ট বলছে, বিজ্ঞানীরা ল্যামডা ধরনকে চিহ্নিত করে ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক হবে বলে হুঁশিয়ার করছেন। এটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট তথা ডেল্টার চেয়ে বেশি সংক্রামক আর ভয়াবহ। ল্যামডার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী সে বিষয় নিয়ে তারা এখন গবেষণা করছেন।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রকোপ বেশি। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। ডেল্টা ধরন যেমন দ্রুত বিস্তার করছে সেই সাথে মানুষের প্রাণহানির হারও বেশি।

ল্যামডা ভ্যারিয়ান্ট বিজ্ঞানীদের কাছে ‘সি.৩৭’নামে পরিচিত। গত ডিসেম্বরে পেরুতে প্রথম এই ধরন ধরা পড়ে। তারপর থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে এই ধরন মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। হিসাবে বলা হচ্ছে, নতুন যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি ল্যামডা ধরনে আক্রান্ত।

এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬টি দেশে ল্যামডা ধরন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১৪ জুন ল্যামডা ভ্যারিয়ান্টকে ‘ভ্যারিয়ান্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে আখ্যায়িত করে।

বিজ্ঞানীদের কাছে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়ায় এবং শক্তিশালী অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে। তার অর্থ ভ্যাকসিন নিলেও এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকা মুশকিল। কারণ, ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও এই ধরন লড়াই করতে পারে।

যদিও পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, এই ধরন মারাত্মক রোগ তৈরি করে কিংবা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে।

একটি গবেষণা বলছে, আলফা (যুক্তরাজ্য) এবং গামা (ব্রাজিল) ভ্যারিয়ান্টের চেয়েও ল্যামডা ভ্যারিয়ান্ট শক্তিশালী। গত ২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আটজন ল্যামডা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে কেউ মারা যাননি।

মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইন বলছে, গত চার সপ্তাহে এ ভাইরাসটি অনন্ত ৩০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এর ধরনটি মূলত লাতিন দেশ পেরু থেকে উদ্ভূত। আর এই মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এরইমধ্যে এটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *