গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর ভেতরেই করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে সোমবার (৫ জুলাই) নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।
যদিও সোমবার (৫ জুলাই) থেকেই মানুষ পথে নামতে শুরু করেছে। সেই সাথে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে সিলেট মহানগরীসহ উপজেলাগুলাতে টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। এছাড়াও যানবাহন ও মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণে সিলেটের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমা, বাইপাস সড়ক, কুমারগাঁও তেমুখী, শাহপরাণ গেইট, বিমানবন্দর সড়কসহ প্রধান সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যদিও সময়ের সঙ্গে তল্লাশি বা টহলের সংখ্যাও কমেছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছেন। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
করোনা থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষে একা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটা একটা কঠিন কাজ। তবুও পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। নিজেরা সচেতন হলেই কঠিন এই সময়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে একাধিক টিম। জনগণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই রাস্তায় অযথা ঘোরাফেরা করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
জানা আছে, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। চলমান লকডাউন অমান্য করে অযৌক্তিক কারণে কেউ যাতে বাইরে বের না হয় সেজন্য সিলেট মহানগরীসহ ১৩টি উপজেলায় ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে সোমবার লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২ টি মামলা করা হয় এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৯ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান