সরকার ঘোষিত সাতদিনব্যাপী কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার (৫ জুলাই)। লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের।
লকডাউনের শুরুতে সবকিছু কঠোর থাকলেও তা এখন কিছুটা ঢিলে হয়ে পড়েছে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে। তবে সিলেট মহানগরীসহ উপজেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সেই সাথে যানবাহন ও মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণে সিলেটের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমা, বাইপাস সড়ক, কুমারগাঁও তেমুখী, শাহপরাণ গেইট, বিমানবন্দর সড়ক টিলাগড় সহ প্রধান সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব চেকপোস্টে তল্লাশি চলছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পাশাপাশি অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন। তবে লকডাউনে গত তিনদিনের যে চিত্র সিলেটে ছিলো পঞ্চম দিনের লকডাউনে সড়কগুলোতে যানবাহন ও জনসমাগম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা আছে, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। চলমান লকডাউন অমান্য করে অযৌক্তিক কারণে কেউ যাতে বাইরে বের না হয় সেজন্য সিলেট মহানগরীসহ ১৩টি উপজেলায় ৩৩টি মোবাইল টিম কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে রবিবার লকডাউন বাস্তবায়নে এসএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশনের সাথে ডিবি পুলিশ ও পুলিশ লাইন্স অফিসার এবং ফোর্স যৌথভাবে এসএমপির বিভিন্ন স্থানে ১৬টি চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
ওইদিন বিধি নিষেধ অমান্য করায় পুলিশের অভিযানে সিএনজি অটোরিকশা ৩৭টি, মোটরসাইকেল ৭৫টি, প্রাইভেট কার ৮টি ও অন্যান্য ৬টি সহ সর্বমোট ১২৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা ৪৬টি, মোটরসাইকেল ১২৭টি, প্রাইভেট কার ১৩টি, অন্যান্য ৩৭টি সহ মোট ২২৩ টি যানবাহন আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশি ডিউটিতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লকডাউন বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৮৬ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টহল পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে একাধিক টিম। কেউ লকডাউন না মেনে বাহির হলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে জরিমানার পাশাপাশি আইনী ব্যবস্থা।
বার্তা বিভাগ প্রধান