করোনার ভয়াবহ প্রকোপ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে তুলনামূলক ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্টগুলোতে দেখা গেছে যানবাহনের জট। এ ছাড়া অলিগলিতেও দোকানপাট খোলার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বেড়েছে।
সকালে খিলগাঁও রেলগেট, বাসাবো, মানিকনগর, মালিবাগ রেলগেট, চৌধুরী পাড়া, রামপুরা, বাড্ডা, রিংরোড, নতুন বাজার, কাকলী, বনানী ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনে চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে ব্যাংক-বিমা খুলেছে। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে শেয়ার বাজারও। এ ছাড়াও জরুরি সেবার অফিসগুলো খোলা থাকার কারণে জরুরি প্রয়োজনেই গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে।
নতুন শাহজাদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় যানজট দেখা গেছে। কাকলী মোড়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। সেখানেও ব্যক্তিগত গাড়িরসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহনের জট দেখা গেছে। দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা প্রতিটি গাড়ি চেক করছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে মামলাসহ আটক করে রাখতে দেখা গেছে। সাতরাস্তা মোড়ের চেকপোস্টে কঠোরভাবে যানবাহন চেক করা হচ্ছে। বিনা কারণে বাইরে বের হলেই মামলাসহ আটক করা হচ্ছে।
একই চিত্র দেখা গেছে মিরপুর সড়কে। এই সড়কটিতেও বিভিন্ন ট্রাফিক মোড়ে ব্যক্তিগত গাড়িকে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে থাকতে দেখা দেখা গেছে। এছাড়া শহরের অন্যান্য সড়কগুলোতেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে।
সড়কে গাড়ির উপস্থিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেক চেকপোস্টে কিছুটা ঢিলেঢালা অবস্থানও লক্ষ্য করা গেছে। কিছুকিছু চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চেক ছাড়াই যান ছেড়ে দিতেও দেখা গেছে। বাড্ডা ইউলুপ এলাকার চেকপোস্টে তিন পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে সেখানে কোনও যানবাহন চেক করতে দেখা যায়নি। একই ভাবে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতাল সংলগ্ন চেক পোস্টের চিত্রও একই দেখা গেছে। পান্থপথ সিগন্যালের অবস্থাও একই।
বনানীতে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, বিনা কারণে যারা রাস্তায় বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান