কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালি ক্যাম্প থেকে কাজের সন্ধানে মৌলভীবাজারে পালিয়ে আসা ১৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ এবং শিশু রয়েছে। শুক্রবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ৪ জন নারী।
এ নিয়ে রাত ১১টায় সদর মডেল থানায় তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। পুলিশ সুপার জানান, মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বশির আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে লকডাউন প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট ও কিলো ডিউটি পালন করছিলেন। এসময় শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোহিঙ্গা নাগরিদের সন্দেহ হলে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রোহিঙ্গারা তাদের নাম পরিচয় দিয়েছে। তারা হলো- মৃত নাজির হোসেন ও মাতা মৃত রাশিদার ছেলে মো. হামিদ হোসেন (৫০)। হামিদ হোসেনের সন্তান হারুন (১৮), জুনায়েদ (১৪), ওসমানগনি (১০), ওমর ফারুক (১৬ মাস), নূর বেগম (৯), নূর কায়দা (৭) ও সাদিয়া ফাতেমা (৩)। তারা সবাই একই পরিবারের এবং ৮ নং ক্যাম্প কুতুপালং, ব্লক ৫৯ এর বাসিন্দা। মো. কামালের ছেলে শফিক (২২), তার স্ত্রী মিনারা (২০) পাঁচ মাসের শিশু সন্তান রিয়াজ। এই তিনজন ৭নং কুতুপালং ক্যাম্প (ব্লক E ৩৮) এর বাসিন্দা।
এছাড়া লতুমিয়ার ছেলে আজিজুল হক (২৫) ৮ নং কুতুপালং ক্যাম্প (ব্লক ৫৮), মৃত আবু তাহেরের ছেলে নূর হাসান (৩১), ৮w কুতুপালং (ব্লক ৩৮) ও মৃত আ. হবির মেয়ে সোনালি (৫১), বালু খালি 8w ক্যাম্প, (ব্লক A ৩২)।
এদের মধ্যে ১১ জন দুটি পরিবারের সদস্য। অন্য তিনজন তাদের সাথের। সবাই কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ও বালুখালি শরনার্থী শিবির থেকে এসেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটককৃত রোহিঙ্গারা কৌশলে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে এসেছে। এরপর কয়েকদিন চট্রগ্রামে অবস্থান করে কাজের সন্ধান চালিয়েছেন। সেখানে মানুষ তাদের কাজ পাওয়ার জন্য সিলেটের দিকে আসার জন্য বলেছে। গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম থেকে এই ১৪ জন কাজের খোঁজে মৌলভীবাজার আসেন। কাজ না পেয়ে শুক্রবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় অন্যত্র কাজের সন্ধানে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ সন্দেহমূলক তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায়।
আটককৃত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান