২৭ এপ্রিল ভর্তির পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (১৯ জুন) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে সহকারী ফাতেমাও ছিলেন। একটি সিলভার রঙের গাড়িতে করে বাসায় পৌঁছান তিনি।
এদিকে, খালেদা জিয়ার ফেরাকে কেন্দ্র করে ফিরোজার আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এসময় বিভিন্ন সংস্থার লোকজনকেও দেখা গেছে।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে রাত আটটা দশ মিনিটে বের হন। এসময় তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়া তার গাড়িবহরে চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাজের সহকারী ফাতেমা ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এসেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামুসদ্দিন দিদার। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছেন। ফেরার সময় তাকে একটু বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো৷ তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’
দিদার জানান, ‘খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিদায় জানান মেডিক্যাল টিমপ্রধান ডা. শাহাবউদ্দিন। তিনি বলেন, সবসময় ম্যাডামকে হাস্যোজ্জল দেখতাম, কিন্তু আজ সেটা মনে হয়নি।’
রাতে বাসায় ফেরার সময় ফিরোজার গেটে অপেক্ষাধীন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের এক্সপ্রেশন বিষণ্ণ দেখা গেছে। অন্য সময় তাকে উৎফুল্ল দেখা যেতো।’
এক মাস পর গত ৩ জুন খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৫ মে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে লিখিত চিঠি দেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার। যদিও সরকার তাতে এখনও সাড়া দেয়নি।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দলীয় প্রধানকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।
বার্তা বিভাগ প্রধান