ইচ্ছাশক্তির জোর থাকলে মানুষ কত কিছুই না করতে পারে! জোয়া থমাস লোবো কিছু করতে চেয়েছিলেন। তবে শুরুটা ছিল ভীষণ কষ্টের। ১১ বছর বয়সে জানতে পারেন তিনি কিছুটা আলাদা। তখন থেকেই নতুন জার্নি শুরু। এরপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। এখন তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
এক সময় ট্রেনে ভিক্ষা করতেন জোয়া থমাস লোবো । দৈনিক আয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে উৎসবে দিনে উপার্জন আরও বাড়তে। তবে সেই লাইনে ভীষণ হ্যাপা। ২০১৬ সামে মা-কে হারানোর পর একাকী হয়ে পড়েন জোয়া থমাস লোবো। কিন্তু হাল ছাড়েননি। সংগ্রামটা নিজের মতো করে চালিয়ে গিয়েছেন।
মুম্বইয়ের কাপরা বাজার এলাকায় ছোটবেলা কেটেছে। মিশনারি স্কুলে পড়ার কারণে ইংরেজিতেও বেশ ভাল। চলার পথে তাই কোনও কিছুই যেন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। ১৭ বছর বয়সে সালমা নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়। সালমাই হয়ে উঠেছিলেন জোয়া থমাস লোবোর মা।
২০১৮ সালে ইউটিউবে হিজড়া শাপ কি বর্ধন নামের একটি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ আসে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয়ের সৌজন্যে পুরস্কার পান। পুরস্কার নেওয়ার সময় তাঁর বক্তব্য নাড়া দেয় এক সংবাদ সংস্থার কর্মীদের। সেই সংস্থাতেই সাংবাদিক হিসেবে চাকরি পান জোয়া থমাস লোবো।
ঠিক করেন ফটোজার্নালিস্ট হবেন। দিব্যকান্ত সোলাঙ্কি নামে এক সিনিয়র ফটোজার্নালিস্টের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। দিব্যকান্ত তাকে শেখান ছবি তোলার কৌশল। এরপর নিজের আয়ের থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরা কেনেন জোয়া। গত বছর পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাঁর তোলা একটি ছবি ব্যাপক সারা ফেলে সারা দেশে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন জোয়া থমাস লোবো। এখন সোশ্যাল মাধ্যমের পরিচিত মুখ তিনি।
বার্তা বিভাগ প্রধান