কলকাতা: নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোট গণনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাখিল করা ইলেকশন পিটিশনের শুনানি পিছোল। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে। নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা দায়ের করেন।
একুশের বিধানসভা ভোটে হাই-ভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। গোটা দেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ভোটের আগে নন্দীগ্রামে থেকে প্রচার চালিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি বাড়িও ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীও গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। ভোটের দিনেও যেমন দিনভর অশান্তি-গোলমালে টানটান উত্তজনা ছিল, তেমনি ভোট গণনার দিনেও চরম উত্তপ্ত আবহ তৈরি হয়েছিল। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে ভোটের গণনায় কারচুপি করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার মামলার শুনানির কথা ছিল। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার হতে পারে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা নিয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী এস এন মুখোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের গোটা নির্বাচন পদ্ধতিকে বাতিল বলে ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি, একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের আবেদনও জানান তিনি। এই মামলায় আর কোন কোন ধারা যুক্ত হতে পারে সেব্যাপারে নিজের মতামত আদালতে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী। আদালত তাঁর বক্তব্য শোনার পরেই কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানায়। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এই মামলার নোটিস পাঠাতে হবে। এছাড়াও মামলা সম্পর্কিত আরও কিছু আইনি প্রক্রিয়াও বাকি রয়েছে। সেই সব আইনি প্রক্রিয়া সারতে গেলে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়। সম্ভবত আগামী বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোট গণনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাখিল করা পিটিশনের শুনানি হতে পারে।

নির্বাহী সম্পাদক