এখন থেকে কোনো পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই পবিত্র হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদির ইংরেজি জাতীয় দৈনিক আল আরাবিয়া। চলতি বছরের হজের নিবন্ধনে স্থানীয়দের জন্য নির্দেশিকা জারি করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের নিবন্ধনের জন্য নারীদের পুরুষ অভিভাবকের আর কোনো প্রয়োজন নেই। তারা অন্য নারীদের সঙ্গে এখন থেকে পবিত্র হজ আদায় করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় সোমবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘যারা এবার পবিত্র হজ আদায় করতে আগ্রহী তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করতে হবে। নারীরা একজন মহরম (পুরুষ অভিভাবক) ছাড়াই অন্য নারীদের সঙ্গে হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সৌদি সমাজে সংস্কার আনার জন্য নারীদের এমন নানা প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সৌদির নারীদের পুরুষ নিকটাত্মীয় কিংবা অভিভাবক ছাড়া একাকী বসবাসের সুযোগ আইনত নিষিদ্ধ ছিল। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত শরিয়াহ আইন সংশোধনের মাধ্যমে নারীদের একাকী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। আজ আসলো এই ঘোষণা। যুগান্তকারী এসব পদক্ষেপ সৌদির অভিভাবকত্ব ব্যবস্থাকে বাতিল করেছে। কেননা তা প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের আইনত নাবালিকা হিসেবে তুলে ধরে এবং স্বামী, পিতা এবং অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়দেরকে তাদের ওপর নির্বিচারে কর্তৃত্ব করার অনুমতি দেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ঘোষণায় ১৮ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী সৌদি নারীদের আইডি কার্ডে নাম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, নাম বদলাতে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে ২০১৯ সালে সৌদি নারীদের ওপর থেকে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় বলা হয়েছিল, পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া ২১ বছর বয়সী সৌদি নারীরা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সৌদি সমাজে সংস্কার আনার জন্য নারীদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা, রেস্তোরাঁয় গিয়ে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বসে খাওয়া ও গাড়ি চালানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান