শুক্রবার আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মাঠের বাইরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশি। আবাহনীর ব্যাটিংয়ের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে মিরপুরে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মুশফিককে আউট না দেওয়ায় স্টাম্প লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন সাকিব। পরের ওভারে ১ বল বাকি থাকতে বৃষ্টির কারণে মাঠ কাভার দিয়ে ঢাকার নির্দেশ দেন ফিল্ড আম্পায়ার। তাতেও ক্ষিপ্ত হয়ে তিন স্টাম্প উপড়ে আছাড় মারেন মোহামেডান অধিনায়ক। সাকিবের এমন অক্রিকেটীয় ঘটনায় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তাই ম্যাচ শেষ হতেই দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব।
নিজের ফেসবুক পেজে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় অনুসারীরা, আমি গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আমার মেজাজ ধরে রাখতে পারিনি। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকে ম্যাচটি দেখেছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উচিত হয়নি এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো। কিন্তু কখনও কখনও এমনটা হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের জন্য আমি দল, পরিচালনা কমিটি, টুর্নামেন্টের অফিসিয়ালস এবং সাংগঠনিক কমিটির কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি ভবিষ্যতে আর এর পুনরাবৃত্তি করবো না। ধন্যবাদ, আপনাদের ভালোবাসি।’
আবাহনীর ইনিংসে সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভারে দুই ও তিন নম্বর বলে এক চার ও এক ছক্কা খেয়েছিলেন। তাতেই মেজাজ হারান তিনি। পঞ্চম ওভারের ষষ্ঠ বলটি মুশফিকের পায়ে লাগলে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে রিঅ্যাকশন দেখান তিনি। পা দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দিয়ে আম্পায়ার ইমরান পারভেজ রিপনের সঙ্গে তর্কে জড়ান। অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন ওই সময়। তখন তার সতীর্থরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন শুভগত হোম। প্রথম দুই বলে পর পর দুই চার হজম করেন এই স্পিনার। ওভারের পঞ্চম বল শেষ হতেই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। সাকিব এক্সট্রা কাভার থেকে দৌড়ে এসে দুই হাতে দুই স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় আবার। ততক্ষণে অবশ্য মাঠকর্মীরা পিচ কভার দিয়ে ঢাকা শুরু করেন।
সাকিব ওখানেই থামেননি। আশালীন ভাষা ব্যবহার করতে করতে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। আবাহনীর ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবকে টেনে নিজেদের ড্রেসিং রুমে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ওখানে চলে দুই দলের কথার লড়াই।
বার্তা বিভাগ প্রধান