সিলেটে সোমবার সন্ধ্যায় দুই দফা ভূমিকম্পে রাজা জিসি হাইস্কুলের ফাটল ধরা ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট। একই সাথে অপ্রতুল শ্রেণিকক্ষের চাহিদা মিটাতে ৬ তলা ভবন নির্মাণের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) বেলা ১২ টার দিকে ফাটল ধরা স্কুল ভবনটি পরিদর্শন করেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মূল ভবনের স্ট্রাকচার বেশ পুরনো। তাই এটি ভূমিকম্প সহনীয় করে ভিত্তি তৈরি করা হয়নি। কিন্তু এখন যেসব ভবন হচ্ছে সবগুলো ভূমিকম্প সহনীয় করে হয়। এজন্য ভবনটিতে ফাটল ধরা দিয়েছে। তাই এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’ শ্রেণিকক্ষের চাহিদা মিটাতে ৬ তলা নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজা জিসি স্কুলের জন্য একতলা একটি ভবনের বাজেট বরাদ্দ আছে। এ ভবনটির বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬ তলায় উন্নীত করা হবে। একই সাথে তাদের শ্রেণিকক্ষের চাহিদা দ্রুত মিটানো হবে।’
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ৬ টা ২৯ মিনিটে একবার এবং ৬ টা ৩০ মিনিটে একবার ভূমিকম্প হয়। কিন্তু আবহাওয়া অফিসে একবারের ভূমিকম্পের হিসেব সংরক্ষিত হয়ে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৩ দশমিক ৮ দেখা গেছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস ঢাকার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম। এমনকি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৮৮ কিলোমিটার হওয়া এটি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর বলেও জানান সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
অপরদিকে ভূমিকম্পে রাজা জিসি স্কুলে ফাটল ধরার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ সিলেটে আগামীর জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতাই চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী বুধবার আমি সিলেটের সকল শ্রেণির মানুষদের নিয়ে বসব। ইতোমধ্যে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি। তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে নগরের সকল জায়গায় জরিপ করা হবে। এর পর সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হবে। কারণ বিশেষজ্ঞরা আগেই আমাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা ১০ দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও আজ ৯ দিনের দিনই ফের দুইবার ভূমিকম্প।’
বার্তা বিভাগ প্রধান