সিলেট নগরীর পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও আল রাইয়ান হাসপাতালকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলার মিরেরগাঁওয়ের এক গৃহবধূর গর্ভকালীন টেস্ট ও সন্তান জন্মদানকে কেন্দ্র করে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) এই দুই প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ নোটিশ প্রদান করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর।
জানা গেছে, গত ১৭ মে সিলেট শহরতলির (সদর উপজেলার) মোগলগাঁও ইউনিয়নের মিরেরগাঁওয়ের ঝর্ণা বেগম নামের গৃহবধূ নগরীর মধুশহিদস্থ আল রাইয়ান হাসপাতালে তৃতীয় সন্তান জন্ম দেন। ওইদিন সকালে ডাক্তারের পরামর্শে সিলেট নগরীর কাজলশাহস্থ পপুলার মেডিকেল সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করান তিনি। সেখানে আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে ঝর্ণার গর্ভে দুটি শিশু বলা হয়।
কিন্তু সোমবার রাতে সিজারের পর মায়ের কোলে দেয়া হয় একটি শিশু। এ নিয়ে বিড়ম্বনা তৈরি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি- আলট্রাসনোগ্রাম রির্পোটটি ভুল। তবে পপুলার মেডিকেল সেন্টারের পক্ষ থেকে ঝর্ণার অভিভাবকদের এ ব্যাপারে কোনো সন্তুষজনক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি ।
ঝর্ণা বেগমের দেবর নাজির উদ্দিন ওইদিন জানান, তার ভাবির প্রসবব্যথা উঠার পর সোমবার সকালে আলট্রাসনোগ্রামের জন্য পপুলার মেডিকেলে আসলে টেস্টের পর ঝর্ণার গর্ভে দুটি শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু সোমবার রাতে আল রাইয়ান হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে একটি শিশু পাওয়া যায়। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, পপুলারের রিপোর্ট ভুল।
নাজির উদ্দিন আরও জানান, রিপোর্টটি নিয়ে তারা দ্রুত পপুলার মেডিকেলে যান। সেখানে যাওয়ার পর দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে কোনো দু:খপ্রকাশ না করে নাজির উদ্দিনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
নাজির উদ্দিন আরও জানান, এর আগে দুই বার তার ভাবি স্বাভাবিক প্রসবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। পপুলারের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তারা তড়িঘড়ি করে ঝর্ণা বেগমকে নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেয় একটি। এতে ঝর্ণা বেগম শারীরিক এবং তাদের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে তারা পপুলার মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাজির উদ্দিন ২৩ মে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও আল রাইয়ান হাসপাতালকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে এ বিষয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে, এ বিষয়ে অভিযোগকারীকে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশন দেয়া হয়েছে। জমা দেয়ার পর এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর।
সূত্র:সিলেটভিউ২৪ডটকম
বার্তা বিভাগ প্রধান