ডেস্কনিউজ:
মাদকের কবল থেকে সারাদেশের তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে এবং মাদকের ‘শিকড় উপড়ে ফেলতে’ সর্বাত্মক অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলছে সিলেটেও। মাদকের বিরুদ্ধে সিলেটে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮৮ মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছে।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সিলেটে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯ এবং ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরআগে গত কয়দিনের অভিযানে ৪৪ মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহবুবুল হক জানান, বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৯ লিটার দেশি মদ, ১শ’ ৭৭ বোতল বিদেশি মদ ১৯৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
একই দিনে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ মাদকসেবীকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-৯ এর সহকারী পরিচালক (সিনিয়র এএসপি) মঈন উদ্দিন চৌধুরী, এএসপি নাহিদ হাসান, এএসপি আফজাল হোসেন এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের সমন্বয়ে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. মনির হোসেন, ফয়সল মিয়া (৩০) ও রিপন মিয়াকে (১৮) ছয় মাস, মোক্তার হোসেন (১৮), মো. জীবন (১৮), মীর মো. শাহীন মিয়া (৩০), মনির হোসেন (৩২), মো. নাসির (৪০), মো. মফিজ মোল্লা (৩৮), মো. আব্দুল নুর (১৮), সাজেদুল ইসলামকে (৪৫) দুই মাস, মো. বাদশা মিয়া (৩৪), জতন (৩৯), লোকমান হেকিম (৩৫), মো. রেহান মিয়া (৩০), মো. জাকির হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ (২৬), কালামকে (২২) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া বুধবার (২৩ মে) মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা, ৪ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিল তাদের কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. আব্দুল বাশিত (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর (৩৫), মো. রুবেল (২৫), মো. শরীফকে (২৫) এক মাস, জুয়েল ইসলাম (১৯), কাজল মিয়া (২৮), মো. পিন্টু খানকে (৩১) তিন মাস, বদরুল ইসলাম (২২) মারুফ আহমেদ (৩৯), দুলাল আহম্মদকে (২৪) ১৫ দিন, মোস্তফা আলী (৩৮) ও আকবর আলীকে (৪৮) ১০ দিন, বাচ্চু মিয়াকে (৫২) দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।