করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ হিসাব গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৮ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। আগের দিন নতুন আক্রান্ত হয়েছিল ১ হাজার ৫০৪ জন। এক দিনে করোনায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছ
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৬। আর দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৪৮। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।
করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে আবার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি