বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীরা ব্যস্ত প্রীতিভোজে। বর-কনেকে ঘিরে চলছে উৎসব। হঠাৎ থেমে গেল কোলাহল। বাল্যবিয়ে বন্ধে হাজির হলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
বুধবার (১৯ মে) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি।
ইউএনও বলেন, বেলা দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিয়ের আসরে যাই আমরা। ছেলের বয়স ২৪ বছর, মেয়ের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী বয়স মাত্র ১৩ বছর। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পক্ষ জানান, তারা আইনজীবীর রুমে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। পরে তাদের আমরা বোঝাতে সক্ষম হই এভাবে বিয়ে বৈধ নয় এবং আইনগত ভিত্তি নেই। তখন মেয়ের পরিবার ভুল বুঝতে পারে এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন। বর কনে উভয় পক্ষের মুচলেকা এবং ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে করার অঙ্গীকার নিই আমরা।
অভিযানকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান