সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলায় এক চীনা নাগরিক ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় তার ওপর সহকর্মী মি. জো চাওকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।আহত অবস্থায় বর্তমানে ওই ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় তাকে (মি. জো চাওকে) পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখানো হবে। এছাড়া নিহত চীনা নাগরিক উই ওয়েন ওনটো (৪০)’র স্ত্রী চীন থেকে বাংলাদেশে আসছেন বলেও খবর পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলা নিবাস আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ১১/৯ আয়ান ম্যানশনের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাটে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন চীনা নাগরিক উই ওনটো । ওই ফ্ল্যাটে ১২ জন চীনা নাগরিক বসবাস করতেন। তারা সিলেটের কুমারগাঁওস্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করেন।
মঙ্গলবার সকালে অন্য সকল শ্রমিক কাজে চলে গেলে ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে থেকে যান উই ওনটো এবং জো চাও। সকাল ৮টার দিকে ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তাদের সহকর্মীরা ছুটে এসে কক্ষের ভেতর থেকে আহতাবস্থায় উই ওনটো ও জো চাও-কে উদ্ধার করেন। ওনটোকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জো চাও-কে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ জানান, ব্যক্তিগত ঝামেলাকে কেন্দ্র করে দুই চীনা নাগরিক মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় উই ওনটো ধারালো ছুরি দিয়ে জো চাও’র গলার পেছন ও ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মারামারির একপর্যায়ে জো চাও ছোরা কেড়ে নিয়ে ওনটোর বুকের বাম পাশে আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সহকর্মী চীনা নাগরিকরা ওনটোকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল ১১টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ জো চাওকে আটক করেছে। তাকে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ প্রহরায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান