ওয়াশিংটন:
রবিবার সকালে ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের কাছে আছড়ে পড়েছে চিন রকেটের ভাঙা অংশ। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল নাসা। চিনের দিকে সরাসরি আঙুল তুলে এই সংস্থা জানিয়েছে চিন দায়বদ্ধতার মানদণ্ড রক্ষা করতে পারেনি। রকেট ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই নাসার তরফে এই উক্তি করা হয়।
বেজিংয়ে সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ১১০ ফুট লম্বা চিনা রকেটের লং মার্চ ৫বি ভাঙা অংশ। ভারত মহাসাগরে ৭২.৪৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ও ২.৬৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে রকেটের ভাঙা অংশটি পড়ে। চিনের ম্যানেড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর নাসার তরফে বিল নেলসন জানান, “চিন যে তাদের মহাশূন্য ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কিত দায়িত্বশীল মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তা স্পষ্ট। স্পেসফিয়ারিং দেশগুলিকে অবশ্যই খেয়ার রাখতে হবে যাতে সেগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মানুষ ও পৃথিবীর কোনও সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি হবে না।”
চিনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রতি মুহূর্তে ট্র্যাক করছিল এই রকেটটিকে। কিন্তু গত শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় রকেটটি পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, শনিবার সেই রকেটটি বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়বে এবং বায়ুর সাথে ধাক্কা খেয়ে ভস্মীভূত হয়ে যাবে। আর ঠিক সে সময় ওই বিশালাকার রকেটের (China’s biggest Rocket)ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে পৃথিবী পৃষ্টে। তবে এই রকেটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সময় মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। রবিবার পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে ওই নিয়ন্ত্রণহীন চিনা রকেটটি। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, এটি ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) উপর পড়েছে। চিনা মিডিয়া অনুসারে, এটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্বে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের আশেপাশে কোথাও জলে পড়েছে। আছড়ে পড়ে থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। এটির চারটি ভাগ ভাগ হয়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। এর মধ্যে তিনটি জলের উপরে এবং একটি মাটিতে রয়েছে বলেই ধারণা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
নির্বাহী সম্পাদক