এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন যিনি খাদ্য রসিক নন। মুখরোচক খাবার কিংবা কোনো চটজলদি পদ সবই তাদের কাছে লোভনীয়।
আমরা বরাবরই একটু মসলাদার মুখরোচক খেতেই ভালোবাসি। কিন্তু তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা খারাপ সেটা আমরা জানি।
এ বিশেষ দিনটিতে সেই সমস্ত মায়েদের জন্য এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের টিপস রইল যা তাদেরকে সর্বদাই রাখবে প্রানোজ্জল, তরতাজা ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
আজকালকার যুগে কোনো মা থেমে থাকে না। প্রত্যেকেই বাড়ি সামলানো, সংসার সমালানো, অফিস করা এবং সন্তানদের প্রতিপালন করা এই সমস্ত দায়িত্ব একা হাতেই পালন করেন।
তাই নিজেদের স্বাস্থ্য বজায় রাখাটা তাদের কাছে গৌণ হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় মায়েরা এই ধারণাটি এড়িয়ে যান কারণ তাদের কাছে তাদের সংসারই আসল।
তাই অনেকেই খাবার খেতে ভুলে যান। আবার খাবার নিয়ে অনিয়ম করেন।
এতে তাঁদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। সুতরাং তাদের এবার হাতের সম্বল করতে হবে এমন কিছু চটজলদি অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার (healthy food) যা খেতেও বেশি সময় লাগে না কিন্তু সেগুলি তাদেরকে দেবে অফুরন্ত এনার্জি।
১. লেবু জল: সকাল হলেই এখন থেকে এক গ্লাস লেবু জল (lemon water) পান করার অভ্যাস করুন। এই পানীয়টি আমাদের দেহকে সমস্ত ময়লা থেকে মুক্ত রাখে এবং ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস পান করা যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। এতে সকালের শুরুটা যেমন সুন্দর হবে তেমনি সারাদিনের জন্য শক্তিও পাবেন।
২. কফি: আমরা যখনই চিন্তায় থাকি আমাদের বলা হয় কফি (coffee) বা চা পান করতে। আমরা যখন ঝিমিয়ে পড়ি সেই সময় আমাদের কফি পান করলে আমাদের মাথা আবার সক্রিয় হয়ে যায়।
তবে এক্ষেত্রে যেকোনো কফি নয়। ব্ল্যাক কফি (black coffee) কাজে দেয়। দিনে দুই কাপ অথবা ২৫০ গ্রামের বেশি কফি পান করা যাবে না।
৩. কলা: কলায় (banana) থাকে প্রচুর পটাশিয়াম। তবে এতে আরো একটি উপাদান থাকে যার নাম ট্রিপটোফ্যান।
এটি এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড (amino acid) যা সেরোটোনিন হরমোনে (serotonin hormone) পরিণত হয় এবং আমাদের মস্তিষ্কে আরাম প্রদান করে। একটি মাঝারি সাইজের কলা প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে খাওয়া উচিত।
এটি আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করতেও সাহায্য করে এবং ঘুম আনতে সাহায্য করে।
নির্বাহী সম্পাদক