ডেস্ক নিউজ : রাশিয়ার সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার ধরতে মস্কোতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী মেলা। ‘টেক্সটাইল অ্যান্ড জুট ফেয়ার ২০১৮’ নামের এই একক প্রদর্শনী মেলা সোমবার মস্কোর রেডিসন হোটেলে শুরু হয়েছে। মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. এস এম সাইফুল হক, তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আশফাকুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
“অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়া। দেশটিতে তৈরি পোশাক খাতেরও রয়েছে বিশাল বাজার। আর এই বাজার জয় করতেই বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো একক মেলার আয়োজন করেছে। ব্যাংকিং ও শুল্ক বাধা দূর করা গেলে ইউরোপ ও আমেরিকার পর অন্যতম বাজার হবে রাশিয়া।”
“সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অনেক পুরনো ও বিশ্বস্থ বন্ধু। পারমাণবিক বিদ্যু প্রকল্প এবং মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোসহ অনেক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য বাধা রয়েছে, রাশিয়া সেসব অচিরেই দূর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।”
“জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের মাত্র দেড় শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। চলতি অর্থবছরের গত মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ায় ৩৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। তবে দেশটিতে তৈরি পোশাক বাজার ৫২ বিলিয়ন ডলারের। আলোচ্য সময়ের মোট রফতানির মধ্যে ৩০ কোটি ডলারই এসেছে পোশাক থেকে। বাকি চার কোটি ডলারের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে দেড় কোটি ডলার।”
“অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি ও ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ দূতাবাস এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
“প্রদর্শনী থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত উজবেকিস্থান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, মলদোভা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও তাজিকিস্তানে বাজার বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।”