‘মা’ (Mother) ছোট্ট এই একটি অক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আমাদের জীবনের আশা ভরসা সুখ দুঃখ, ভালো মন্দের সবকিছুর শেষ ঠিকানা। সারা পৃথিবী তোমার বিপরীতে কথা বললেও এই মানুষটিই একমাত্র সন্তানের সুখের জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দিতে সদাপ্রস্তুত।
মা, মাম্মি, আম্মা, যে নামেই মা’কে ডাকা হোক না কেন সকলের জন্যই জীবনের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা এই মায়ের কোল। মা ছাড়া জগত অন্ধকার। আর এই মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই বিশেষ সাজে সেজে উঠেছে ‘গুগল ডুডল'(Google Doodle)।
এমনিতেই সারা বছরই বিশেষ বিশেষ দিনে নানারকম ছবি ভিডিওর মাধ্যমে কীর্তিমান জনপ্রিয় ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দেখা যায় গুগলে(Googl)। তেমনই আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। প্রতিবছর মে মাসের (9 May) দ্বিতীয় রবিবার ( ৯ মে) সারা পৃথিবীজুড়ে বিশ্ব মাতৃদিবস(World Mother’s Day) পালন করা হয়। সন্তানের কাছে মা ও মায়ের কাছে সন্তান কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছ তা বোঝাতে বা মায়ের প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা জানাতে এই একটা দিন যথেষ্ট নয়। তবুও একজন সন্তানের জীবনে মায়ের অবদানকে কুর্নিশ জানাতে বিশেষ এই দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
আর সেই কারণে আজ সকাল থেকেই নানা কাজে গুগলে চোখ রাখলে দেখা যাবে ‘Google’ এর ছয়টি বর্ণ রঙিন সাজে সেজে উঠেছে। লাল,নীল, হলুদ, সবুজ, আকাশি আর গোলাপি আভায় মুড়েছে ‘গুগলের'(Google Doodle) প্রতিটি বর্ণ। যেন বোঝাতে চাইছে মা আছে বলেই আমাদের জীবন এত রঙিন এত প্রানবন্ত। এছাড়াও আরও একটি পপ-আপ দেখা যাচ্ছে। যেটি খামের মতো খুলে যাচ্ছে। আবার তার মধ্যে রয়েছে কতগুলো রঙিন ফুল আর ইমোজি এবং লাভ সাইন। যা দেখে আপনার মনে হতেই পারে মায়েদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে এই কার্ডটি বানিয়েছে গুগল(Google)।
তবে এই মাতৃদিবস(Mother’s Day) আজ নয় ১৯০৮ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় চল্লিশটি দেশে সাড়ম্বরে এই দিনটি উদযাপিত করা হয়।
তবে এই দিনটি পালনের পিছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। ১৯০৮ সালে আমেরিকাতেই (US) প্রথম এরকম একটি দিনের কথা ভাবা হয়েছিল।আন্না জার্ভিস নামে (Anna Jarvis) পশ্চিম ভার্জিনিয়ার এক কিশোরী প্রথম এমন একটি দিনের উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁর মা তাঁর কাছে মায়েদের জন্যই একটি বিশেষ দিনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর মা মারা যান। এর তিন বছর পরে
পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফ্টনের সেন্ট অ্যান্ড্রুয়ের মেথোডিস্ট চার্চে( West Virginia- St. Andrew’s Methodist Church) তাঁর মায়ের স্মরণ সভার অনুষ্ঠানের সময় মাতৃ দিবস প্রথম পালিত হয়েছিল।
বিশ্বে প্রথম এই দিনটি আন্নার( Anna Jarvis) উদ্যোগে পালিত হয়। যদিও সেদিন সেখানে আন্না উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু মায়ের স্মৃতি কেন জরুরি, তার কী গুরুত্ব এই সব তিনি তাঁর পরিচিতদের মধ্যে বলেছিলেন। সেই হিসেবে মাদার্স ডে(Mother’s Day) কিন্তু নতুন কিছু না। তবে একেবারে পাকাপাকি ভাবে এদিনটি ১৯১২ সাল থেকেই নিয়মিত পালিত হতে থাকে।
তবে বর্তমান বৈশ্বিক করোনা(Coronavirus Pandemic) পরিস্থিতির কারণে এবছর কিছুটা জৌলুশহীন ভাবেই পালিত হচ্ছে মাতৃদিবস।
নির্বাহী সম্পাদক