দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। আসন্ন এই ঢেউ হতে চলেছে অপ্রতিরোধ্য। যদিও কখন এই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞেরা। তবে কীভাবে তৃতীয় ঢেউ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখবেন, সেব্যাপারে পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস৷
করোনার তৃতীয় ঢেউ কতটা মারাত্মক ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃতীয় ঢেউ আরও মারাত্মক হবে। কারণ তৃতীয় ঢেউ ফুসফুসকে সংক্রমিত করতে সময় নেবে মাত্র ২-৩ দিন। অর্থাৎ সময় মতো হাসপাতালে ভর্তি না হলে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কীভাবে আটকানো যেতে পারে?
যদি ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়, বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, তাহলে তৃ তীয় ঢেউ-এর ক্ষতি কমানো যেতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেলে, তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেইসঙ্গে শারীরিক দূরত্ববিধি ও মাস্ক ব্যবহারের উপরও বেশি করে জোর দিতে হবে৷
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাই এখনও সে ভাবে সামলে উঠতে পারেনি দেশ। অক্সিজেনের অভাবে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বা চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন কয়েক হাজার মৃত্যু হচ্ছে দেশে। ভ্যাকসিন নিয়ে বাঁচার চেষ্টাতে বাদ সেধেছে দেশে টিকার ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতেই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিকিৎসকেদের।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ফের রেকর্ড গড়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। মৃত্যু হল ১২৭ জনের । এই নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ২০৩ জনের। শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬৪। উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। শনিবারও এখানে দৈনিক সংক্রমণ ৩৯৮২, মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এরপরই রয়েছে কলকাতা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৬১। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তরের দুই জেলা – কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার।
নির্বাহী সম্পাদক