আমরা দেখছি অনেক ব্যাক্তি মাদক নিয়ে কাজ করছেন, কিন্ত একবারও কি চিন্তা করেছি যে আমরা কি কাজ করছি?
আমরা যে মাদক সেবীদের ধরে আইনের কাছে পাঠিয়ে দিলাম,
তাতে কী তাদের উপকার হবে? আমরা যাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দিলাম তারা কি পুলিশের হাতে মার খেয়ে ভাল হয়ে যাবে????
কেউ কি কখনো চিন্তা করেছিল, যে একজন মাদকাসক্ত লোককে পুলিশের কাছে পাঠানো পর, সে আবার যখন জেল থেকে মুক্তি পাবে সেকি এই নেশা থেকে ফিরে আসবে… সেকি ভাল অবস্থানে ফিরবে??
আপনি কি বলতে পারবেন যে, সে একদম ভাল হয়ে গেছে!
অনেকেই বলবেন হ্যা সে ভাল হয়ে গেছে, আবার অনেকে বলবেন না সে ভাল হয় নাই।
তবে আমি বলব আসলে সে ভাল হয় নাই, কারণ হল যে তাহাকে জেল খানায় পাঠানো হয়েছে টিক কিন্ত সে জেলে গিয়ে তার নেশা ত্যাগ করতে পারে নাই এবং এই আসক্তি থেকেও সে মুক্ত হতে পারে নাই। আসলে মাদক আমাদের সমাজে একটা মারাত্মক সমস্যা !!
আমরা কি ভাবছি যে, পুলিশ এসে ধরে নিল এবং জেলে থাকার পর সে ভাল হয়ে গেল? না, শুধু পুলিশের ধরে নিয়ে যাওয়াতে হবেনা- বরং মাদকাসক্ত লোকটাকে ভাল চিকিৎসা দিতে হবে এবং সে যে নেশা করছে এটা একটি মরনব্যাধি সেটা তাকে বুঝাতে হবে, তাহলে হয়তো সে মাদক সেবন থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং ভাল পথে ফেরার সুযোগ পেতে পারে।
আবার আমরা অনেকে ভাবি এটা কী করে সম্ভব????
আমি বলব পৃথিবীথে মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই! সব কিছুই জয় করা সম্ভব! তবে হ্যা, অদম্য ইচ্ছা থাকতে হবে।
পরিবারঃ
আর যারা মাদকাসক্ত পরিবার তাদের জনসচেতন হতে হবে!
যে আপনার সন্তান কেন এই কাজে লিপ্ত হবে?সেই বিষয় খিয়াল রাখতে হবে! সে তার কোন বন্ধু সাথে কী কাজ করতেছে? কোনো নেশা সাথে জরিত আছে কী না?? পরিবারের তা দিকে নজর রাখতে হবে, এই বিষয়ের গুলো দিকে যদি নজর না দেয়া হয়। তা হলে সে মাদক সেবন বা বিভিন্ন রকম খারাপ কাজ করতে পিছুপা হবে না। সে তার নিজের মত চলতে থাকবে।
বন্ধু মহলঃ
আমার একটা বন্ধু বা ক্লাসমেট নেশা করে, আমি কি পারিনা তাকে ভাল করতে?? কেন পারবনা তাকে ভাল করতে? অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে, ভালবাসা দিয়ে তাকে জয় করতে হবে। তাকে সঠিক চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যেতে হবে!!
কিন্তু প্রশ্ন হল তাকে কিভাবে নিয়ে যাব???
আমরা জানি পরিশ্রমী মানুষের অসাধ্য কিছুই নাই!!
প্রথমত দেখতে হবে যে সে কেমন নেশায় লিপ্ত আছে, তুমার সাধ্যের ভিতরে কি না! যদি থাকে তাহলে তাকে তুমি ভাল চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাও, আর যদি দেখা যায় যে সাধ্যের বাহিরে তাহলে চিকিৎসার পাশাপাশি আইনের সাহায্য নিতে পার। তাদের কে নিয়ে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কাজ করতে হবে এবং বলতে হবে যে তাদের কে শাস্তি দেওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে মাদক সেবন একটা ধন্ডনিয় অপরাধ।
আমরা জানি যে মাদক মুক্তির জন্য অনেক সেবা মূলক কেন্দ্র আছে।
তাই আমরা যদি তাদেরকে আইনের কাছে সোপর্দ করে প্রশাসনের মাধ্যমে ধরে নিয়ে সুস্থতার জন্য সেবা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেই তাহলে তারা সঠিক চিকিৎসা পেয়ে ভাল হবে, সাথেসাথে তাদের সাথে যারা এই নেশায় জড়িত ছিল তারাও ভাববে যে আমি ভাল হতে চাই!! তখনই তারা অন্ধকার জগৎ থেকে বাঁচার জন্য আলোর জগতে ফিরে আসার চেষ্টা করবে। তারা দ্বিপ্ত কন্ঠে বলে উঠবে
“বাংলার দামাল ছেলে হবেনা হবেনা ক্ষয়
মাদক মুক্ত বাংলাদেশে আমরা করব জয়” ।
সেই ক্ষেত্রে আমরা যারা সমাজ সেবায় জড়িত আছি তাদেরকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
যেমন, মিডিয়াকে নিয়ে কাজ করতে হবে, তার পাশাপাশি প্রশাসনকে নিয়েও কাজ করতে হবে।
লেখক
আবু সুফিয়ান
সিলেট জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।
বার্তা বিভাগ প্রধান