Home » করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে পৌঁছতে ১ লাখ! গ্রেফতার অ্যাম্বুলেন্স মালিক

করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে পৌঁছতে ১ লাখ! গ্রেফতার অ্যাম্বুলেন্স মালিক

নয়াদিল্লি :

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল গোটাদেশ। বাজারে ভ্যাকসিন চলে এলেও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কোনও আশার আলো। বরং পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে। করোনায় অবস্থা খারাপ রাজধানী দিল্লিরও।

আর এই অবস্থায় যে যেভাবে পারছেন অসহায় নিরুপায় মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু এই করোনা আবহে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। মহামারীর সুযোগ নিয়ে উপরি কিছু পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন তারা। শুধু উপরি নয় বলা ভালো মোটা টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন একশ্রেণির এই অসাধু ব্যবসায়ী।

খোদ রাজধানীর বুকে করোনা সংক্রমিত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাড়া দাবি করায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার অ্যাম্বুলেন্স মালিক।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই অ্যাম্বুলেন্স মালিকের নাম মিমহ কুমার বুন্দল। সে দিল্লির দাশগড়ের ইন্দ্রপুরীর বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছেন, আদতে এমবিবিএস ডক্টর  মিমহ কুমার বুন্দল গত ২ বছর ধরে এই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা করছেন। করোনা আবহে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে ভাড়া হাঁকেন। যা শুনে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার যোগার।

এই বিষয়ে ইন্দ্রপুরি থানার পুলিশ জানিয়েছেন, এক করোনা আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি সামনে আসে। তদন্ত করে দেখা যায় জরুরি পরিষেবার নামে অ্যাম্বুলেন্স সংস্থার মালিক যার কাছে যেমন পারছে তেমন টাকা আদায় করে নিচ্ছে।

জানা গিয়েছে, এমনই এক করোনা সংক্রমিত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোগীর বাড়ির লোকের কাছে ওই ব্যক্তি আম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ ১লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন৷ অনেক অনুনয়-বিনয় করে শেষপর্যন্ত ভাড়া ২০ হাজার টাকা কমাতে রাজি হয় সে। এরপর প্রথমেই তাকে ৯৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপর লুধিয়ানা হাসপাতালে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে সে আরও বাকি ২৫০০০ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন রোগীর মেয়ে।

জানা গিয়েছে, এরপরই করোনা আক্রান্ত রোগীর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি পুলিশের সামনে আসে৷ তারপরই অভিযুক্ত মিমহকে গ্রেফতার করে।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে গত একমাস ধরে এভাবেই রোগীর বাড়ির লোকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে রমরমিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা চালাচ্ছিল সে। যদিও পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর ওই রোগীর বাড়ির লোকের কাছে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে মিমহ৷ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *